চট্টগ্রাম নগরে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার প্রাইভেট কার থামিয়ে হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বান্দরবান থেকে কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)–কে গ্রেপ্তার করে ডিবি (পশ্চিম)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, এক ব্যক্তির নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়। সেই নির্দেশদাতা এখনো পলাতক।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ জানান, হামলার সময় পলাতক ব্যক্তির মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানোই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
৪ ডিসেম্বর সকালে সিডিএ আবাসিক এলাকায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুল আরেফিন ভাড়ায় নেওয়া প্রাইভেট কারে যাওয়ার সময় তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে চাপাতি দিয়ে আক্রমণ চালান। গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলেন এবং ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলেও একে অন্যকে উসকানি দেন। দুই কর্মকর্তা দ্রুত গাড়ি সরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যায়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, সম্প্রতি তাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন অনিয়ম, রাজস্ব জালিয়াতি ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি ঠেকানোর কারণে সংশ্লিষ্ট চক্র হামলা চালাতে পারে। গত কয়েক মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পপি সিড ও ঘন চিনি, ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেট এবং বিপুল পরিমাণ মিথ্যা ঘোষণার প্রসাধনী জব্দ করা হয়—যেখানে এই দুই কর্মকর্তা সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। প্রসাধনী জব্দের পর মো. আসাদুজ্জামানকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও জানা যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. তারেক মাহমুদ জানান, নিষিদ্ধ পণ্য সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কঠোর অভিযানের পর থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে কর্মকর্তাদের কাছে হুমকি আসছে। নির্দেশদাতার পরিচয় তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
